নানা ধরনের ব্যথা
সবার জীবনে কমবেশি হয়ে থাকে অস্থিসন্ধি,
পেশি বা স্নায়ুতন্ত্রের
কোনো সমস্যার কারণে ব্যথা; ক্যানসার,
প্রদাহের কারণে বা
সংক্রমণের কারণে ব্যথা, ট্রমা জনিত ব্যথা, বাত জনিত সমস্যারই উপসর্গ হিশেবে
ব্যথা হতে পারে। আর ব্যথা উপশমে প্রয়োজনে ব্যথানাশক ওষুধ তো আমাদের খেতেই হয়,
তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা
কমাতে ওষুধ নির্ভরতার চেয়ে বিভিন্ন প্রকার থেরাপির ভূমিকা অনস্বীকার্য।
দীর্ঘ সময় ধরে
ওষুধ সেবন করতে থাকলে ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি থাকে। কিছু কিছু ব্যথা
(যেমন অস্টিওআর্থ্রাইটিস) কখনো ভালো হওয়ার নয়। তাই এর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বিকল্প
ব্যবস্থা নেওয়াই ভালো। এর ফলে ব্যথানাশক সেবনের হার অনেকটাই কমিয়ে আনা যায়। যেমন
গরম সেঁক। সেঁকের উত্তাপ ওই স্থানের রক্তনালি প্রসারিত করে, রক্ত চলাচল বাড়ায়, প্রদাহ ও ব্যথা সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে সরিয়ে
দেয়। ফলে আরাম পাওয়া যায়। ব্যবস্থাটি কার্যকর; তবে অতিরিক্ত উষ্ণতার কারণে ত্বক যাতে পুড়ে না
যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে।
এর চেয়ে বেশি
কার্যকর হলো ব্যায়াম। ব্যায়ামের ফলে এমন কিছু শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন হয়, যে কারণে ব্যথা কম অনুভূত হয়। যোগব্যায়ামও করতে
পারেন। কোনো নির্দিষ্ট সন্ধি বা পেশিতে ব্যথা থাকলে সেই ব্যথার উপযোগী ব্যায়াম
শিখে নিতে পারেন। ব্যথাময় সন্ধিকে স্থিতিশীল রাখতে কিছু সামগ্রী ব্যবহার করতে
পারেন। যেমন হাঁটুব্যথার জন্য ‘নি ক্যাপ’। যেসব কাজকর্মে ব্যথা বাড়ে, সেগুলো এড়িয়ে চলুন।
ব্যায়াম ছাড়াও
ব্যথা উপশমের আরও কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি বা থেরাপি রয়েছে। যেমন অবলোহিত রশ্মির মাধ্যমে
ব্যথা উপশম। চিকিৎসক প্রয়োজনে আপনাকে এ ধরনের চিকিৎসা গ্রহণের পরামর্শ দেবেন।
মানসিক চাপমুক্ত
থাকতে চেষ্টা করুন। এমন কিছু করুন, যা আপনাকে ভালো
থাকার স্পৃহা জোগায়। বাড়িতে পশুপাখি রাখলে তাদের যত্নে আপনি ব্যস্ত থাকবেন,
আবার তাদের নিয়ে সুন্দর
সময় কাটাতে পারবেন। ফলে ব্যথা থেকে মনোযোগ সরে যাবে। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে বিরত
থাকুন। ক্রনিক বা দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার সঙ্গে জীবন–যাপন করতে হলে এর উপস্থিতি যথাসম্ভব মেনে
নেওয়াই ভালো।
0 Comments