STAY WITH US

বিদেশে যেতে হলে কি করতে হবে?

বিদেশে যেতে হলে কি করতে হবে?
বিদেশে যেতে হলে কি করতে হবে?, বিদেশ যেতে করণীয়
বিদেশে যেতে হলে কি করতে হবে?

     স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা অনেকেই বিদেশ ভ্রমন করি, কিন্তু সামান্য কিছু বিষয়ে অমনোযোগী এবং অজ্ঞতার কারণে প্রায় সময়ই আমরা বিভিন্ন সমস্যার সমক্ষিন হই। ঝামেলা এড়াতে তাই  বিদেশ ভ্রমনের  পূর্বে  নিম্ম বর্ণিত বিষয়গুল  সঠিক ভাবে চেক করে নিন



১। আপনি যদি বিদেশ যেতে চান তবে প্রথমেই নিকটস্থ জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

২। কোন ব্যক্তি যদি ফিঙ্গার প্রিন্ট ( আঙ্গুলের ছাপ) বা রেজিস্ট্রেশন করে করে টাকা চাইলে বা বিদেশে চাকুরী হয়েছে বলে প্রতারনা করলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে খবর দিন। মনে রাখবেন আঙ্গুলের ছাপ এবং রেজিস্ট্রেশন মানেই বিদেশে চাকুরীর নিশ্চয়তা নয়।

৩। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে কর্মী নিয়োগের সত্যতা জেনে নিন, এবং বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি সম্পর্কে জেনে নিন।

৪। বিদেশে নিয়োগ চূড়ান্ত হলে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে অবশ্যই বহির্গমন ছাড়পত্র (স্মার্ট কার্ড) গ্রহণ করুণ।

৫। বিদেশ যাওয়ার পূর্বেই চুক্তিপত্র (বিভিন্ন বিষয় দেখে) স্বাক্ষর করবেন, প্রয়োজন বোধে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো থেকে চুক্তিপত্র যাচাই করে নিন।

৬। রিক্রুটিং এজেন্সিকে সকল প্রকার লেনদেন,চেক/পে-অর্ডার /ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে করবেন এবং এজেন্সির স্বাক্ষরিত প্রাপ্তি রশিদ গ্রহণ করবেন।

৭। বিদেশ গমনের জন্য সকল প্রকার দালাল ও মধ্যসত্বভোগী পরিহার করুন, এবং সরাসরি বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করুন। বৈধ উপায়ে, নিয়ম মেনে বিদেশ যান নিরাপদে থাকুন।

   বিদেশে যাওয়ার কমপক্ষে দুদিন আগে এজেন্সির কাছ থেকে চুক্তিপত্র নিতে হবে এবং চুক্তিপত্রে যে বিষয়গুলো পরীক্ষা করে নেবেন -

১.    চাকুরীর নাম  ২। কোম্পানি বা চাকুরীদাতার নাম, ঠিকানা  ৩। কর্মক্ষেত্র   ৪। চাকুরীর মেয়দা/চুক্তির মেয়াদ৫। মাসিক বেতন   ৬। ছুটি ও সামাজিক নিরাপত্তা ৭। যাওয়া আসার বিমান ভাড়া  ৮। নিয়মিত কর্ম-ঘন্টা এবং সাপ্তাহিক ছুটি ৯। ওভার-টাইম  ১০। বাৎসরিক ছুটি  ১১। বেতনসহ ছুটি না বেতন ছাড়া ছুটি  ১২। অসুস্থতার ছুটি (ঝরপশ খবধাব) ১৩। মেডিকেল বা স্বাস্থ্যসেবার সুবিধা ১৪। কর্মক্ষেত্র সম্পর্কিত অসুস্থতা বা মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরনের অংক ১৫। যাতায়াত ভাড়া  ১৬। খাবার ভাতা  ১৭। বাসস্থান ভাতা  ১৮। মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা ইত্যাদি।

আর সর্বশেষ যে বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন তা হল যেই দেশে যাচ্ছেন পাসপোর্টে সেই দেশের ভিসা আছে কি না দেখে নিন। চাকরি নিয়ে যেতে হলে এমপ্লয়মেন্ট ভিসালাগবে। ভিসা ছাড়া কেউ বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করলে বিমানবন্দরেই আটক হতে পারেন।

Post a Comment

0 Comments