STAY WITH US

বিদেশ যাবার জন্য যেসকল ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে

বিদেশ যাবার জন্য যেসকল ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে

বিদেশগামীদের অনেককেই বিদেশে যাওয়ার জন্য জমিজমা বিক্রি করতে হয়। অনেককে চড়া সুদে ঋণ নিতে হয়, কিন্তু বেশীর ভাগ সময় তারা সেই ঋণ শোধ করতে পারে না এবং নান মুখী সমস্যা সৃষ্টি হয়। তাই নানান রকমের সমস্যার হাত থেকে প্রবাসীদের মুক্ত রেখে,  নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্য, বিভিন্ন ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের সল্প সুধে সহজ ঋণ দিয়ে থাকেন
বিদেশ যাবার জন্য যেসকল ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে, অভিবাসী ঋণ, overcieas loan for bangladesh
বিদেশ যাবার জন্য যেসকল ব্যাংক ঋণ সহায়তা দিয়ে থাকে-bdroyal

যে সকল ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান বিদেশগামীদের ঋণ সুভিধা দেনঃ

  • প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকঃ ঋণ পেতে চাইলে বৈধ ভিসা থাকতে হবে।  ভিসা থাকলে ঋণ দেওয়া হবে ভিসার মেয়াদের ওপর ভিত্তি করে। ঋণের পরিমাণ ১ থেকে ২ লাখ টাকা। ঋণের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর। গ্রেস পিরিয়ড রয়েছে আরও দুই মাস। সব মিলিয়ে ঋণ দেওয়া হচ্ছে ২৬ মাসের জন্য এবং সুদের হার ৯ শতাংশ।
  • অগ্রণী ব্যাংকঃ ১৮ থেকে ৪৫ বৎসরের বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক  বিদেশ যাওয়ার জন্য অগ্রণী ব্যাংক থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত  ১৫ থকে  ১৮ মাসের কিস্তিতে  ঋণ সহয়তা নিতে পারবেন। তাছাড়াও পৃথিবীর যে কোনো দেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অগ্রণী ব্যাংক মাত্র ৯ শতাংশ হারে ঋণ দিচ্ছে। সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকার এ ঋণ ৬০ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে।
  • মার্কেন্টাইল ব্যাংক  বিদেশে যেতে ইচ্ছুক  ১৮ থেকে ৪৫ বৎসরের বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক মার্কেন্টাইল ব্যাংক থেক তিন বৎসর মেয়াদের কিস্তিতে সর্বোচ্চ ২.৫ লাখ টাকা ঋণ সহয়তা নিতে পারবেন।
  • কর্মসংস্থান ব্যাংকঃ  বৈধভাবে বিদেশে চাকুরীর জন্য গমনেচ্ছুকদেরকে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে কর্মসংস্থান ব্যাংক। ঋণ পেতে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা সরাসরি নিকটস্থ কর্মসংস্থান ব্যাংকে যোগাযোগ করতে পারেন 
এছাড়াও সোনালী ব্যাংক , জনতা ব্যাংক,  এবি ব্যাংক ও ব্র্যাকসহ সরকারি-বেসরকারি আরও অনেক ব্যাংক এবং সংস্থা এখন বিদেশে যাওয়ার জন্য স্বল্পসুদে ঋণ দিচ্ছে। 

অভিবাসী ঋণ লাভের যোগত্যসমুহঃ    আবেদনকারী ব্যক্তিযার মাধ্যমে ভিসা পেয়েছে তা যাচাইয়ের জন্য ভিসার ২টি ফটোকপি ও ফোন নাম্বার জমা দিবে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে ভিসাটি যাচাই করে ফোন অথবা মেসেজের মাধ্যমে জানানো হবে। ঋণ গ্রহনকারীরঅনুপস্থিতিতে আপনজনকেঋণ পরিশোধের দায়িত্ব নিতে হবে।জামিনদারকে অবশ্যই স্বচ্ছল হতে হবে। ভিসা যাচাই শেষ হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ যোগাযোগ করতে হবে। 
  
অভিবাসী ঋণের জন্য যেভাবে আবেদন করতে হবেঃ    ভিসা পাওয়ার পর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর আবেদন করতে হবে। অভিবাসন ব্যয়ের বিবরনী, আবেদনকারীর(৩কপি),জামানতদারদের(২কপি)ছবি,ভোটার আইডির ফটোকপি ও বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানাসহ পৌরসভার/ইউনিয়নপরিষদের সার্টিফিকেটের সত্যায়িত ফটোকপিজমা দিতে হবে। এছাড়া নন-জিডিসিয়াল স্ট্যাম্পে সেই ব্যাংকের মাধ্যমের রেমিটেন্স পাঠানো হবে সেই অংগীকারনামওজমা দিতে হবে।

Post a Comment

0 Comments